Welcome to
Short Time School (STS)
(‘সমাজ গবেষণা ও সংস্কার কেন্দ্র, রাজশাহী’ কর্তৃক পরিচালিত)
(‘সমাজ গবেষণা ও সংস্কার কেন্দ্র, রাজশাহী’ কর্তৃক পরিচালিত)
প্রচলিত শাস্তিমূলক শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তে বিজ্ঞানভিত্তিক পুরস্কারমূলক শিক্ষাব্যবস্থার দর্শনে প্রতিষ্ঠিত, ‘Short Time School’ একটি ব্যতিক্রমধর্মী সৃজনশীল স্কুল। আমাদের দেশের অধিকাংশ শিক্ষক ও বাবা-মা মনে করেন, ‘মাইরের উপর কোন ওষুধ নাই।’ অর্থাৎ তারা বিশ্বাস করেন, পড়াশোনা শিখানোর মোক্ষম অস্ত্র হচ্ছে মাইর। শুনতে খারাপ লাগলেও, এটি মনে করার মূল কারণ- অশিক্ষা বা কুশিক্ষা। আমাদের দেশে শিক্ষকদের বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা কম থাকায় মেধাবীরা এই পেশায় আসতে চান না। তারপরও, সম্মানজনক এবং আরামদায়ক পেশা হিসেবে যারা আসতে চান, তাদেরকে আসতে দেয়া হয় না। প্রাইমারী থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সব স্তরে অবৈধ টাকা ও অশুভ শক্তির প্রভাবে কম মেধাবীরা বিভিন্নভাবে স্থান করে নিয়েছেন। সময়-সময় ৫/১০ জন অযোগ্যকে নিয়োগ দিতে কর্তৃপক্ষ ২/১ জন মেধাবীকে নিতে বাধ্য হন। সেই হিসেবে, দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে কিছু সংখ্যক চরম মেধাবী শিক্ষক অবশ্যই আছেন। কিন্তু তারা এতই সংখ্যা লঘু যে তাদের কথায় প্রতিষ্ঠান চলে না বা কোন সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় না। (সংখ্যায় কম হলেও ব্যতিক্রম কিছু ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেশে অবশ্যই আছে) তাই ‘মাইরের উপর কোন ওষুধ নাই’ দর্শনেই শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে মাইর, তিরস্কার ও গালিগালাজ হচ্ছে শিক্ষণের ক্যান্সার। এসব আচরণ অংকুরেই শিশুর সকল সম্ভাবনা ও সৃজনশীলতাকে বিনষ্ট করে দেয়। সে জন্যই যে মানব সন্তানের সম্ভাবনা ও সক্ষমতা থাকে বিজ্ঞানী হওয়ার, তারপক্ষে কেরানি হওয়াও সম্ভব হয় না।
শিশুর সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত করার কার্যকরী ওষুধ হচ্ছে- প্রশংসা, পুরস্কার এবং প্রেষণা। ‘Short Time School ‘ এই দর্শনের উপর প্রতিষ্ঠিত একটি সৃজনশীল স্কুল। যেহেতু কোন একটি এলাকার ২/১ হাজার ছেলে-মেয়েকে সারাদিন পড়িয়ে সমাজ পরিবর্তন সম্ভব নয়, তাই আমাদের রয়েছে অনলাইন কার্যক্রম। ফলে দেশ- বিদেশের যে কোন প্রান্তের শিক্ষার্থীরা আমাদের কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হয়ে উপকৃত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। যেহেতু আমাদের শিক্ষার্থীরা সবাই প্রচলিত অন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, তাই তারা আমাদের সাথে যুক্ত থাকবে সংক্ষিপ্ত সময়। আর সে জন্যই আমাদের স্কুলের নাম- ‘Short Time School.’ শিশুর বয়স-স্তর অনুসারে আমাদের রয়েছে বিভিন্ন কোর্স। যেমন: চিত্রাংকন, শিশু ভাষা উন্নয়ন এবং কাউন্সেলিং ও মোটিভেশন। একাডেমিক পড়াশোনার সহজবোধ্য শিক্ষণ, এক্সট্রা কারিকুলার এ্যাকটিভিটিজ এবং কাউন্সেলিং ও মোটিভেশনের বিভিন্ন প্রোগ্রামে শিশু থেকে মাস্টার্স অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের উপকৃত হওয়ার সু্যোগ রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি সৃষ্টিতে, ‘প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়,চট্টগ্রাম’ এর মাননীয় উপাচার্য, সমাজবিজ্ঞানী ডঃ অনুপম সেন স্যারের অবদান অনস্বীকার্য। তাঁর মূল্যবান পরামর্শ, উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং সক্রিয় সহযোগিতাই প্রতিষ্ঠানের প্রাণ। স্যারের অব্যহত সহযোগিতার পাশাপাশি দেশের যে কোন সমাজবিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ এবং জ্ঞানীগুণী যে কোন ব্যক্তির, যে কোন মূল্যবান পরামর্শ ও সহযোগিতা সাদরে গ্রহণের জন্য অত্র প্রতিষ্ঠানের বাতায়ন সব সময় খোলা থাকবে। কারণ, আমরা বিশ্বাস করি, যে কোন জ্ঞানীগুণী ব্যক্তির মূল্যবান পরামর্শ দক্ষিণ-সমীর হিসেবে আমাদের প্রাণ-শক্তি বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।